কক্সবাজারে একদিনে ৭ করোনা রোগী সনাক্ত

বিশেষ প্রতিবেদক ◑

কক্সবাজারে একদিনেই সাতজনের দেহে করোনা ভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে মোট ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হল। যার মধ্যে কক্সবাজার জেলায় ১৩ জন এবং অপর একজন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে মোট ১০১ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষা করার পর শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রিপোর্টে ৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়। তারমধ্যে ৫ জন মহেশখালীর, একজনের কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়া ও অপরজনের বাড়ি টেকনাফের পানিরছড়ায়। এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যদিও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন। অপর জন কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার বাসিন্দা।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া আরও বলেন, গত ২৩ দিনে মোট ৭১৫ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) টেকনাফের একজন, গত বুধবার (২২ এপ্রিল) কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার একজন, গত ১৯ এপ্রিল মহেশখালীতে ৩ জন ও টেকনাফে ১ জন রোগী শনাক্ত হয়। এর আগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কোনারপাড়ায় তাবলিগ ফেরত এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।

এদিকে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, আমরা প্রতিদিনই কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হতে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে থাকি। পরবর্তীতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ল্যাবে তা টেষ্ট করা হয়। এখন আমরা বিশেষ করে; বেশি বেশি সন্দেহভাজন ব্যক্তির টেষ্ট করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই রাত ৮টার মধ্যে কক্সবাজারের ৮টি উপজেলাসহ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর নমুনাগুলো পরীক্ষার পরই প্রতিবেদন ঢাকায় আইইসিডিআরে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ওখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে ঢাকাস্থ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে। পহেলা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত গত ২৩ দিনে সবমিলিয়ে মোট ৭১৫ জনের পরীক্ষা করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত এ ল্যাবে।